#নয়াদিল্লি: কলেজের পাঠ্যক্রমে রয়েছে পর্নোগ্রাফি। নীলছবি নিয়ে কোর্সও করতে পারবেন পড়ুয়ারা। সম্প্রতি মার্কিন দেশের উটাহ প্রদেশের সল্টলেক নামের শহরের একটি বেসরকারি কলেজে এমন কোর্স চালু নিয়ে হইহই শুরু হয়েছে। এই আর্ট কলেজের তরফে এমনও জানানো হয়েছে যে, লুকিয়ে নয়, বরং শিক্ষক-পড়ুয়ারা একসঙ্গে বসেই নীলছবি দেখবেন। তবেই পাওয়া যাবে নম্বর। জানা গিয়েছে, কলেজটির নাম ওয়েস্টমিনস্টার কলেজ। সেখানকার আর্ট বিভাগে চালু হচ্ছে পর্নোগ্রাফি দেখানোর ক্লাস। (Pornography in College)
কলেজের পাঠ্যক্রমের একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সেই পাঠ্যক্রমে একটি কোর্স ছিল যেখানে পড়ুয়াদের পর্নোগ্রাফি পড়ানোর কথা লেখা ছিল। সেই কোর্সের বিবরণে লেখা রয়েছে, 'পড়ুয়ারা একসঙ্গে বসে পর্ন ফিল্ম দেখবেন।' পাঠ্যক্রমেই সেই ছবি ভাইরাল হতেই অবশ্য মার্কিন কলেজটি 'ফিল্ম ২০০০ পর্ন' নামক কোর্সটির বিবরণ নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়। তবে মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, কোর্সের বিবরণ সরানো হলেও কোর্সটি বাতিল করেনি সংশ্লিষ্ট কলেজ।
কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করেন, নীলছবিকে শিল্পের মতো করে দেখা উচিত। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে যে, তারা পড়ুয়াদের সঙ্গে একসঙ্গে এই নীলছবি দেখবেন। এরপর জাতি, শ্রেণি এবং লিঙ্গের যৌনতা নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করা হবে। পর্নোগ্রাফি বা নীলছবিকে র্যাডিকাল আর্ট ফর্ম-এর মতো করে দেখা হবে। কোর্স বিবরণে দাবি করা হয়েছে, 'অ্যাপেল পাই যতটা মার্কিনি, পর্নোগ্রাফিও ততটাই আমেরিকান। রবিবার রাতের ফুটবল ম্যাচের থেকে পর্নোগ্রাফি বেশি জনপ্রিয় আমেরিকায়। এই বিলিয়ন-ডলার শিল্পের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল - এটি একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা যা যৌন অসমতাকে প্রতিফলিত করে।'
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পড়ুয়ারা অনেক সময় এমন অনেক সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হন, যেখানে তারা তাদের এই সব সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন না। এই কোর্সের বর্ণনা কিছু পাঠকের জন্য উদ্বেগজনক হলেও এটা ছাত্রদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে যে তারা বিতর্কিত বিষয়গুলির সঙ্গে যুক্ত হতে চায় কি না। এই কোর্সের জন্য এক পড়ুয়াকে দুই ক্রেডিট স্কোর দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এর আগেও এই কোর্সটি পড়ানো হয়েছে কলেজে। করোনা অতিমারির কারণে এটি বিগত দু'বছর বন্ধ ছিল।
0 Comments:
Post a Comment